বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
লক্ষীপুর সদরের ভয়ংকর এক বাড়ির নাম জানুমিয়ার বাড়ি
লক্ষীপুর সংবাদদাতা :
লক্ষীপুর জেলার লক্ষিপুর সদর থানার একেবারে শেষ প্রান্তের
১৭ নং ভবানী গন্জ ইউনিয়ন ১ নং ওয়াড একটি বাড়ি জানুমিয়ার বাড়ি। বাড়িটা অরেকটা বিখ্যাত খোরশেদ আলম ও তার সন্তানদের নানা অপকর্মের জন্য। যে বাড়িতে বসবাস মোঃ খোরশেদ আলমের। ৬০ বছরের ভয়ংকর খোরশেদ আলম নয় সন্তানের জনক। যার মধ্যে ছয় ছেলে ও তিন মেয়ে। খোরশেদ আলমের পুরো জীবনটাই ভংকর । তার ভয়ে পুরো এলাকাবাসীরা অনেকটাই অসহায়।
এলাকাবাসীরা জানান, খোরশেদ আলম ছোট কাল থেকে খুবি ভয়ংকর প্রকৃতির ছিল। সে সব সময় অসহায় মানুষের মারধর করত কখনও বা আঘাত করত শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এমনি কি খোরশেদ আলম যে কাউকে উলংগো করে খুবি উল্লাস করতে। প্রথম প্রথম এলাকাবসীবাসী দূষ্টুমির চলে এমনটা করছেন মনে করলেও খোরশেদ আলমের স্বভাবটা এখই আগের মত বিধ্যমান।
এলাকাবাসী আরো জানান, খোরশেদ আলমের সাথে কারো সাথে কথা কাটা কাটি হলে তাদের বসত ঘর ভেঙে দেওয়া ছিল তার অন্যতম বৈশিষ্ঠ। এরি সাথে ওখোরশেদ আলমের নেশা ও নানা মাদকের কারবার করেন দীর্ঘ বছর ধরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একি এলাকার আরো একজন জানান, অসৎ চরিত্রের অধিকারি খোরশেদ আলমের ছয় সন্তাও ঠিক যেন বাবার কার্বন কপি। ঢের অনেকাটা বাবার চেয়ে বেশী খারাপ প্রকৃতির। তাঁরা এমনটা অসৎ চরিত্রের অধিকরী যে তাদের ভয়ে পুরো গ্রামটা জিম্মি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, খোরশেদ আলম ও তার ছয় সন্তান মিলে এলাকাটি ভয়ংকর লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তুলে যাদের অত্যচার আর নির্যতনের ঐ এলাকার বৃদ্ধ থেকে শুরু করে কোমলমতি শিশু পর্যন্ত আজও চরম আতংকে দিন যাপন করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো একজন জানান, খোরশেদ আলম ও ছয় সন্তানের সম্বনয়ে গঠিত লাঠিয়াল ভয়ে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও যেন স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত এই গ্রামের মানুষ গুলো।
অনেকের অভিযোগ খোরশেদ আলমের তার ছয় সন্তান এলাকায় করেননি এমন অপকর্ম খুজে পাওয়া দুষ্কর। তাদের ভয়ে ও নির্যাতনের কারণে এলাকার মা বোনরা অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকেন সারাক্ষণ। মেয়েরা এখন পথ চলতে ভয় করেন খোরশেদ আলমের তার ছয় সন্তানকে।
সম্প্রতি খোরশেদ আলম ও তার সনÍানরা প্রতিবেশী রুহুল আমিনের মেয়ের নতুন বরকে বিনা কারণে বেদমকরে প্রহার রক্তাক্ত করেন। এব্যাপারে গ্রামবাসীরা অনেকটা আপেক্ষক করে জানান খোরশেদ আলম ও তার সনÍানদের হাত থেকে আর যেন কারো রক্ষা নেই। নতুন জামাইকে মারধর করে তারা গ্রামের নতুন একটা ইতিহাস সৃষ্টি করল। যার কালিমা কখওন শেষ করার নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলেকায় বসবাসরতরা জানান, দিনে দিনে জানুমিয়ার বাড়িটা যেন একালার এক অভিশপ্তও নির্যতনের সেল হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে। এতদিন ভয়ে জুনু মিয়া বাড়ির খোরশেদ আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও এলাকাবাসীরা এখন জানুমিয়ার বাড়ির লোক জনের হাত থেকে মুক্তি চান। তাদের দাবী সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খোরশেদ আলম ও তার সন্তানদের সব অপকর্মের সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক তাদের উপযুক্ত বিচার দাবী করছেন।