সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
কারাগারে বাড়ছে করোনা পজিটিপের সংখ্যা- আতঙ্কিত বন্দি ও তাদের স্বজনেরা।
ডেক্স নিউজ ঃঃ-
খুলনা জেলা কারাগারে আটক বন্দিদের স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত ছয়দিনে জেলা কারাগারে চারজন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন সহকারী প্রধান কারারক্ষী, দুই জন কারারক্ষী এবং একজন কারারক্ষীর স্ত্রী। এ ঘটনায় কারাগার জুড়েই রয়েছে আতঙ্ক। ইতোমধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের করোনা পরীক্ষা কয়েক ধাপে শুরু হয়েছে। তবে কারাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই নির্দেশনা মোতাবেক কারাগারে কয়েক দফা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি বন্দিদের সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে স্বজনদের কথা বলার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টে জেলা কারাগারের একজন সহকারী প্রধান কারারক্ষী এবং একজন কারারক্ষীর নমুনা করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এ ঘটনার পরপরই তাদের দুইজনকে করোনা হাসপাতালে (খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। এর দু’দিন পর কারারক্ষীর স্ত্রী’র করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তবে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। শনিবার রাতে আরও একজন কারারক্ষীর করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। এছাড়া কারাগারের প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারি করোনার নমুনা দিয়েছেন তবে রেজাল্ট আসেনি।
জেলে বন্দি থাকা কয়েকজন স্বজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমরা আতঙ্কিত। জেলে নানা ধরনের মানুষ থাকে। কার থেকে কি রোগ ছড়ায় বলা যায় না। তাই বন্দিদের চিকিৎসা এবং চলমান করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা আতঙ্কিত।
খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমরা গত ১০ মার্চ থেকে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্তক অবস্থায় আছি। কারাগারের মধ্যে এবং বাইরে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নতুন ও আদালত ফেরত বন্দিদের দুই দফায় স্পেশাল ওয়ার্ডে রাখছি।
জেলা কারাগারের জেল সুপার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, বর্তমানে সকাল,দুপুর এবং রাতে কারাগারে জীবাণুনাশক ¯েপ্র করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগার থেকে অনেক আসামীর জামিনও হয়েছে। এখন জেলাখানার চাপ আগের তুলনায় কম। আমরা প্রয়োজন মনে করলেই করোনার নমুনা দেওয়ার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ৪জনের পজেটিভ হওয়ার তথ্য পেয়েছি।
উল্লেখ্য, ১৯১২ সালে ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষে খুলনা জেলা কারাগার স্থাপিত হয়। কারাগারে বন্দিদের ধারণ ক্ষমতা ৬০৮ জন। তবে বর্তমানে সাড়ে এগারশ’ বন্দি ও কয়েদি এবং প্রায় আড়াইশ’ স্টাফ রয়েছেন।