রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
ধ্রুপদ সঙ্গীত নিকেতনের একযুগ পর্দাপন ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০০৯ সালের ঠিক আজকের দিনটায় অর্থাৎ ৫ জুন ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন ছোট্ট ছোট্ট পায়ে সুর-তাল-তরঙ্গে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক জগতে তাদের পথচলা শুরু করে।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে আজ প্রতিষ্ঠানটি ১২ বছরে পা রাখলো।
ধ্রুপদ এর আজকের এই জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকান্ডের পরিকল্পনা থাকলেও মারণরোগ করোনা ভাইরাস মহামারীর জন্য এ বছর ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন অনলাইনেই উদযাপন করলো তাদের এই ১ম যুগে পদার্পণ অনুষ্ঠান। সেই সাথে আগত বর্ষাকে স্বাগত জানিয়ে বর্ষাকে বরণ করে নিলো ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন।
আজ ৫ জুন ধ্রুপদ সংগীত নিকেতনের এই এক যুগে পদার্পণের অনুষ্ঠানে এক ঝাঁক শিল্পী যুক্ত হন ধ্রুপদের এই আয়োজনে। ধ্রুপদ সংগীত নিকেতনের যে ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ রয়েছে তা থেকে সরাসরিভাবে সম্প্রচার করা হয় এই অনুষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী।
এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, গীমাস এর প্রতিষ্ঠাতা ও বাগিশীক এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি নাথ রণি এবং “সংশপ্তক” এর ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বস্তিক ট্রেড লিমিটেড এর পরিচালক এবং মুক্তধারা লিমিটেড এর কার্যনির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতীম দাশ।
ধ্রুপদ সংগীত নিকেতনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক একাডেমীর সভাপতি চিত্রশিল্পী তাপস মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক কন্ঠশিল্পী মো: লোকমান হোসেন এবং সঞ্জিত ভট্টাচার্য (পরিচালক- লোকনাথ সংগীতালয় ও গীতাঞ্জলি সংগীত নিকেতন)।
শুভেচ্ছা বক্তব্যের পরপরই এপার বাংলা ও ওপার বাংলার জনপ্রিয় নজরুল কন্ঠশিল্পী তারক নট্ট’র মেঘমল্লার রাগের উপর “বরষা ঐ এলো বরষা ” গান দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
এরপর পরই চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক ও বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী অপু বর্মণ শুরু করেন “এলো শ্যামল কেশর” গান।
ধ্রুপদ এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে জন্মদিনের উপহারস্বরূপ ধ্রুপদ কে নিয়ে লেখা মৌলিক গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী মিলন আচার্য্য।এছাড়াও শিল্পীর নিজস্ব লেখা ও সুরে আরো মৌলিক গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন,চট্টগ্রাম এর অন্তর্ভুক্ত কন্ঠশিল্পী ফারুক আহমেদ এবং বিশিষ্ট সুরকার ও কন্ঠশিল্পী মিতালী রায়।
বর্ষাকে স্বাগত জানিয়ে “হায় বরষা” অপূর্ব সুন্দর এই গানটির পরিবেশনা নিয়ে ছিলেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী পিন্টু ঘোষ।
পরিবেশনায় আরো ছিলেন ধ্রুপদ সংগীত নিকেতনের সদস্যবৃন্দ-
কন্ঠশিল্পী মো: লোকমান হোসেন, সজীব চক্রবর্তী। নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন নৃত্যশিল্পী পিয়া দাশ এবং নৃত্যশিল্পী রাহুল দে।
আর সবশেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে বংশীবাদক রনি দে এর মন ছুঁয়ে যাওয়া বাঁশীর সুরে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন এর পরিচালক উৎপল চন্দ্র নাথ অনিক।
ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ উজ্জ্বল চন্দ্র নাথ রনি বলেন-
আমাদের “ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন” প্রতিটি অনুষ্ঠান ও মঞ্চ পরিবেশনায় সর্বদা নান্দনিকতার পরিচয় দিয়ে আসছে। আমি আশা করি, আমাদের এই সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এবং শুদ্ধ সংস্কৃতির লালন করে বিনোদন, উন্নয়ন সহায়ক অনুষ্ঠানমালা প্রচারসহ বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে সবার মাঝে তুলে ধরতে প্রচেষ্টা চালাবে।
ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন এর পরিচালক(নৃত্য বিভাগ) রিয়া দাশ চায়না বলেন-
জন্মলগ্ন থেকেই ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। দায়িত্বশীলতা ও নান্দনিকতা বজায় রেখে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মঞ্চে তারা তাদের পরিবেশনায় চট্টলাবাসীকে মুগ্ধ করেছে।