সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
প্রকাশ্যে ছুরি মেরে হত্যার মূল আসামি কে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
ডেক্স নিউজ ঃ- ডিএমপি মিডিয়া
গতকাল ৫/৪/২০২৫ ইং তারিখ নিজ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে গার্মেন্টস্ কর্মী চাঁদনী খাতুন
(২২),কে আসামী সবুজ খন্দকার(২৯) পারিবারিক
কলহের জের ধরে প্রকাশ্য দিন দুপুরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ঘটনাস্থলে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি রেখে পালিয়ে যায়।
সিএমপির মিডিয়া সূত্রে জানাগেছ,
গত ইং ০৫/০৪/২০২৫ তারিখ বিকাল বেলা গার্মেন্টস কর্মী চাঁদনী খাতুন (২২) নিজ কর্মস্থল সিইইপিজেডস্থ এভারটুবি গার্মেন্টস্ হতে পায়ে হেঁটে নিজ বাসায়
ফিরছিলেন। বিকাল আনুমানিক ৪.৩০ টার সময় ভিকটিম নগরীর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর
খাজা খিজির রোড, রাউজান সুয়েটার ফ্যাক্টরীর সামনে মাহি কুলিং কর্ণার নামের বন্ধ
দোকানের সামনে পৌঁছা মাত্রই পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা চাঁদনীর স্বামী সবুজ খন্দকার
সাথে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হওয়ার একপর্যায়ে কোমর হতে ছুরি বের করে ভিকটিমের
গলার বাম পার্শ্বে, মাথার ডান পার্শ্বে, ডান হাতের কব্জির উপরের অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে
ঘটনাস্থলে ছুরি ফেলে পালিয়ে যায়।
মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন চাঁদনীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ঘটনার পরপরই বন্দর থানার একাধিক চৌকস টিম হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের
সিসিটিভি ফুটেজ,তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ এবং গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে ঘাতক স্বামী সবুজ খন্দকার কে ইং ০৬/০৪/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১.৩০ টার সময় ৩৮নং ওয়ার্ডের ধুমপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করে। এবং আসামীর রক্তমাখা টি-শার্টটি জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী’কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা নং-০৪, তারিখ-০৬/০৪/২৫ইং, ধারা-৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।