মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
নওয়াপাড়ায় জলাবদ্ধতার সমাধান না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান।
শেখ আলী আকবার
অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি।
জলাবদ্ধতার সমাধান না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান তবে উপজেলা পর্যায়ের দ্বিতীয় প্রান্তীক মূল্যায়ন চারুকারু ও শারীরিক শিক্ষা এবং সঙ্গীত পরীক্ষা থাকায় কোমলমতি শিশু-শিক্ষার্থীরা জলাবদ্ধ পানি উপেক্ষা করে এক প্রকার বাধ্যতামূলক ভাবে বিদ্যাপীঠে এসে পরীক্ষাতে অংশ গ্রহণ করে।
সরেজমিনে জলাবদ্ধ বিদ্যালয়ের সমস্যার বিষয় জানতে নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলে সিনিয়র শিক্ষক মোঃ বাবলুর রহমান বলেন, পাঠদানের কক্ষের ভেতরে পানি, অফিস কক্ষেও পানি, জলাবদ্ধতার কারণে প্রায়শই বৃষ্টি হলে বিদ্যালয় না চাইলেও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুৃঁকির কথা বিবেচনা করে বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হয়। এতে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের চরম সমস্যা হয়। এই দীর্ঘ-মেয়াদী সমস্যা সমাধানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
এবিষয়ে নওয়াপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে সহকারী শিক্ষক মোঃ ওহিদুল ইসলাম জানান, ভারী বর্ষণের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে, সেই সাথে অফিস কক্ষের ভেতরে পানি প্রবেশ করায় প্রয়োজনীয় অনেক কাগজ পত্র নষ্ট হয়েছে। আজকে শিশু শিক্ষার্থীদের চারুকারু শারীরিক শিক্ষা ও সঙ্গীত পরিক্ষা থাকায় কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে স্থানীয়দের সহায়তাও প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন সকলের সহযোগিতা পেলে উর্ধতন কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি মনে করেন।
এছাড়া কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা বাধ্য হয়ে এই পানি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে এসেছি। এতে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। সমাধান করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিও তাদের।
এদিকে পানি নিষ্কাশনের তেমন কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় এই দুই মেলবন্ধন বিদ্যাপীঠ। পানি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য শিক্ষার্থীরা এলে চর্মরোগ সহ নানা রোগে আক্রান্তও হতে পারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য কর্মচারীরা।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কাশেম’র কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে মাটি ভরাট করে যতদ্রুত সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করার কাজ করবো।
এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দৈবাৎ ভারী বর্ষণের কারণে মূলত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে তবে পাঠদান সচল রাখতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তিনি জানাবেন।