শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন
আমার দরজা সবার জন্য সবসময় খোলা,মিট দ্য প্রেস এ সিএমপি কমিশনার।
মোঃ শাহরিয়ার রিপন ঃ- চট্টগ্রাম ৮ই জুলাই
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার দরজা সব সময় সেবা প্রার্থীদের তথা জনসাধারণের জন্য খোলা থাকবে। চট্টগ্রামবাসীর যে কোন অভিযোগ, সমস্যার কথা আমি শুনবো। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার এ কথা বলেন। এতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, চট্টগ্রামে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাব। সেবা প্রার্থীরা যাতে থানায় গিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা পায় বিষয়টি আমি দেখবো।
‘চট্টগ্রামে ৩০ পুলিশের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করছে। এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনি কোন ব্যবস্থা নেবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, আমি এক বাক্যে বলতে চাইছি অভিযুক্ত পুলিশের দায় সংস্থা নেবে না। যে অপরাধ করবে তাকেই এর দায়ভার বহন করতে হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন-আপনারা যদি থানা থেকে কোন তথ্য না পান তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবেন। আপনারা যেমন চাচ্ছেন সমাজের ক্ষত সরাতে, তেমনি আমরাও (পুলিশ) চাইছি সমাজের মানুষগুলোকে ভালো রাখতে। তথ্য আড়াল করে কোন লাভ নেই, এতে অপরাধীরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে। অপরাধীদের পরিচয় অপরাধী হিসেবে। অপরাধীকে যে কোন মূল্যে দমন করতে হবে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, কমিউনিটি পুলিশ এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমে জড়িত বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন মামলা কিংবা অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর অভিযোগ থাকলে তাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার কেন্দ্রিক ছেলে নিখোঁজ নিয়ে খুব বেশি করে বিভিন্ন ফেসবুক ফেইজসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। বিষয়টির কতখানি সত্যতা আছে? এ প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন,’সিএমপির থানাগুলোতে ১৭টি মিচিং ডায়েরি (জিডি) ছিল। এগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ৮ জন ছিল প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে চলে গেছেন, আর কেউ স্বজনদের সঙ্গে অভিমান করে চলে গেছেন। তবে যারা মিচিং হয়েছেন তারা সকলেই পরিবারে ফিরে এসেছেন।
কিছু পুলিশ সদস্য নানা অপরাধে জড়িত এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমি কোন দুষ্ট গরু রাখবো না। প্রয়োজনে শূন্য গোয়াল থাকবে। অভিযোগ পেলেই জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩২তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম।