রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ অপরাহ্ন
বন্দর থানার অভিযানে ২৪ ঘন্টার ভিতর মৃতের পরিচয় শনাক্ত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, ও আসামি গ্রেফতার করেছে।
সিএমপি মিডিয়া ঃ চট্টগ্রাম ২ই জুন
বন্দর থানার অভিযানে ২৪ ঘন্টার ভিতর মৃতের পরিচয় শনাক্ত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, ও আসামি গ্রেফতার করেছে। সিএমপির মিডিয়া সুত্রে জানা গেছে,
সিএমপির বন্দর থানা পুলিশের ২৪ ঘন্টা নিরলস প্রচেষ্টায় মৃতের পরিচয় শনাক্ত, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, আসামি গ্রেফতার এবং মোবাইল ফোন ও রিকশা উদ্ধার।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা মহোদয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদের তদারকিতে সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে এবং বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনজুর কাদের মজুমদারের সহযোগিতায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলমগীরের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নি.) মোঃ হাছান আলী তার সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সগণ বন্দর থানার মামলা নং-২১, তারিখ- ৩১/০৫/২৪ইং, ধারা- ৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু হওয়ার পূর্বে পিবিআইয়ের সহায়তায় হত্যামামলার ভিকটিম মৃত আলমগীর ফকির (৬৫) এর পরিচয় শনাক্ত করেন। মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে একপর্যায়ে আসামি মোঃ আরিফ (২৮)-কে বন্দর থানাধীন ধুপপুল এলাকাতে অবস্থিত তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেন এবং আসামির দখল থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, সে ও ভিকটিম পূর্বে একই গ্যারেজে রিকশা চালাতো। তারা গ্যারেজের অভ্যন্তরে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লুডু খেলছিল। তখন লুডু খেলা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ভিকটিম আসামিকে একটি থাপ্পড় মারে। থাপ্পড় মারার কারণে আসামি ভিকটিমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং সে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি ভিকটিমকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সে একটি রেঞ্চ তার সাথে রাখে এবং গত ৩০/০৫/২৪ খ্রি. তারিখ রাত আনুমানিক ০২.৫৫ ঘটিকায় সল্টগোলা ক্রসিং ফলের দোকানের সামনে থেকে তার পূর্বপরিচিত ভিকটিম আলমগীর ফকিরের রিকশায় উঠে (যা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়)। সে রিকশাযোগে ইসহাক ডিপোতে যাওয়ার পথে বন্দর থানাধীন কাস্টম ব্রিজের ১০০ গজ পশ্চিমে রাস্তার উপর পৌঁছালে সে আলমগীর ফকিরকে তার সাথে থাকা ০১টি রেঞ্চ দিয়ে ভিকটিমের মাথার ডান পাশে আঘাত মেরে রিকশাটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ভিকটিম তাকে বাধা প্রদান করলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরবর্তীতে সে পুনরায় রেঞ্চ দিয়ে ভিকটিমের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। লোকজন যেন তার মৃতদেহটি না দেখে সেজন্য আসামি তার মৃতদেহটি টেনেহিঁচড়ে একটু আড়ালে রেখে ঘটনায় ব্যবহৃত রেঞ্চটি ঘটনাস্থলের পাশে ফেলে দেয়। অতঃপর সে ভিকটিমের ব্যবহৃত ফিচার ফোন ও রিকশাটি নিয়ে অন্যত্র চলে যায় এবং যন্ত্রাংশ খুলে খুলশী থানাধীন সর্দার বাহাদুরনগর এলাকার খলিলের স্ক্র্যাপের দোকানে কেজি হিসেবে ৩,৫০০ টাকায় বিক্রি করে। তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক উক্ত স্ক্র্যাপের দোকান থেকে রিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে আসামির দেখানোমতে ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ০১টি রেঞ্চ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।