রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
শৈতপ্রবাহ দীর্ঘ হলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বোরোর বীজতলা
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধিঃ
কয়েক দিনধরে বয়ে চলা শৈতপ্রবাহের ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত কৃষকের ফসলের তেমন কোন খতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দীর্ঘমেয়াদে কম তাপমাত্রা বজায় থাকলে বোরো ধান বীজতলা, ভুট্টা,আলুর জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে বলে মনে করছেন সোনারায় ইউনিয়নের বোরো ধানবীজ তলার কৃষক মোহন্ত রায়,তিনি জানান কয়েক দিনের প্রচন্ত শীত ও ঠাণ্ডার কারেন পলিথিন দিয়ে বোরো বীজতলা ঢাকিথুছি,
ধান আবাদ করিবার না পাড়িলে পবিবার ছাওয়া ছোট নিয়া মাঠে মারাযামো।
অপর দিকে হরিনচড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড এর ভুট্টা চাষী সত্যেন্দ্রনাথ(নান্দি) ও একই এলাকার আলু ও মরিচ চাষী আলতাফ আলী (ভন্ড) বলেন আলু ও মরিচ গাছে মেলা রকম ঔষধ স্প্রে করিছি কোন কামেই তো হছেনা, ভুট্টার গাঁছও সাদা হইছে, আলুর পাতাও কোকরা নাগিছে আবাদ নষ্ট হইলে ঋনের চাপে ঢাকা পালেবার নাগিবে।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক জানাযায় তেমন একটা ক্ষতির সম্ভাবনা নেই,বৃষ্টি হলেই সমস্যা কেটে যাবে,আগামী ১৮,১৯,২০ ইং জানুয়ারি তারিখের মধ্যে রবি ও সোমবার বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস আছে। তবে কথা হলে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে কৃষি অফিস কর্মকর্তা বলছেন সারাদেশে বোরোধান বীজ বড় হচ্ছে।কোথাও
কোথাও কয়েক একর জমিতে বোরোচারাও রোপণ করা হয়েছে।এই অবস্থায় চারার যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি নানা পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছি।
এগুলো পরামর্শের মধ্যে বলা হয়েছে,স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে শৈতপ্রবাহ কালীন সময় সকাল
হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান বীজতলা ঢেকে রাখা,বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে, নলকুপের পানিও ব্যবহার করা যেতে পারে।বীজে শিশির আটকানো ঝড়িয়ে
দিতে হবে।চারা হলুদ হয়েগেলে এক শতাংশ বীজতলায় ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ঠাণ্ডাটা দীর্ঘমেয়াদী হলে কৃষক ভুট্টা,সাদা ও আলু কোকরানো হওয়া থেকে রক্ষার জন্য মেডিসিন স্প্রে করতে পারে। কৃষকদের কিছু মেডিসিন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
যাতে পাতা নষ্টহয়ে অন্যরোগে আক্রান্ত না
হয়।
কৃষি অফিসার(কৃষিবিদ) রফিকুল ইসলাম বলেন এবারে ডোমার উপজেলায় ১৩ হাজার ৭ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরোর ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তাছারা মাঠে এখনও বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ভূট্টা রয়েছে। শীতের কারনে এধরনের ফসল গুলোতে খুব বেশী সমস্যা হয়না।