সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
গাড়ীতে আগুন ভাংচুর এবং চালক ও হেলপারের গায়ে আগুন দেয়ার মামলায় ৩ দুষ্কৃতকারী গ্রেফতার।
মোঃ শাহরিয়ার রিপন ঃ- চট্টগ্রাম ৫ ডিসেম্বর
গত ০৩/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে খুলশী থানাধীন দামপাড়া এলাকায় গাড়ীতে অগ্নি সংযোগ, গাড়ি ভাংচুর এবং চালক ও হেলপারের গায়ে আগুন দেয়ার মামলার মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিন) বিভাগের “স্পেশাল টিম” কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৩ দুষ্কৃতকারী গ্রেফতার।
মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোসাঃ সাদিরা খাতুন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে,
অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) শেখ সাব্বির হোসেন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোঃ মোস্তফা কামাল এর দিকনির্দেশনায় “স্পেশাল টিমের” ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রিপন কুমার দাস এর নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ২২.১০ হতে ২৩.৫০ ঘটিকার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর খুলশী ও চান্দগাঁও থানা এলাকা হতে খুলশী থানার মামলা নং-০৩, তারিখ- ০৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-বিস্ফোরক উপাদানাবলি আইন ১৯৩৮ এর ধারা-৩/৪/৬ তৎসহ ১৪৩/৩২৬/৪২৮ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১। মোঃ হৃদয় (২২) ২। মোঃ নাজির শরীফ (২১) ও ৩। মোঃ রায়হান (২৪) দের কে গ্রেফতার করে।
আটক ব্যক্তিদের’কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যায়, গত ০৩/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১.৪৩ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিন এর নির্দেশে খুলশী থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব নূর আলম সোহাগ এর নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ হৃদয় (২২) ২। মোঃ নাজির শরীফ (২১) ও ৩। মোঃ রায়হানসহ আরো ১০/১২ জন ছাত্রদলের সদস্যগণ খুলশী থানাধীন দামপাড়াস্থ সোহাগ ব্যস কাউন্টারের সামনে থেকে অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল শুরু করে পুলিশ লাইন্স আবাসিক গেইট সংলগ্ন রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থানরত ঢাকা মেট্রো-ব-১২-১৮৬৩ রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট লিঃ এর একটি বাস ভাংচুরসহ বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গাড়ির চালক তারেক ও হেলপার নাজিম উদ্দিন গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আটককৃত মোঃ হৃদয় (২২) মশাল দিয়ে বাসে আগুন দেয়, নাজির শরীফ (২১) ও মোঃ রায়হানসহ অন্যান্য আসামীরা মশাল মিছিলে অংশগ্রহণসহ বাস ভাংচুর করে। আটক হৃদয় জানায় বাসে আগুন দেয়ার সময় তার বাম হাত আগুনে পুড়ে যায়। তার হাতে আগুনে পোড়ার সেই ক্ষত দৃশ্যমান। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায় যে, “তাদের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় মূলত বাস চালক ও হেলপার হত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগনের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য”।
উক্ত ঘটনা ছাড়াও পূর্বে গত ৩১/১০/২০২৩ খ্রি. তারিখে গরিবুল্লাহ শাহ বাস কাউন্টার এলাকায় বাসে আগুন দেয়া ও গত ০১/১২/২০২৩ খ্রি. তারিখে পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনাটি তারাই সংঘটিত করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। তারা জানায় আসন্ন বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ কে বানচাল করার উদ্দেশ্যে তাদের এই সকল ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলমান ছিল।