বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে ঘূর্নিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে দিনভর বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ, আমনের ১৬ ভাগ ক্ষতির আশংঙ্কা.
মোঃ নুহু ইসলাম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়‘মিধিলি’র প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় আমনের ক্ষতির আশংঙ্কা।
শনিবার সকালে সাতটার সময় ১৮ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সকাল থেকেই দিনভর হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় চলতি মৌসুমের আমন রোপা ধান ক্ষেতের ক্ষতির আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের মো. নজরুল ইসলাম জানান
চলতি মৌসুমে পটুয়াখালী জেলায় আমন আবাদ হয়েছে এক লক্ষ ৩০ হাজার ২১৯ হেক্টর জমি।
এর মধ্যে উফশী জাতের ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৬৩ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৭৬ হাজার ৮৩০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ১২৭ হক্টর।
ঘূর্নিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা আবহাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় জাতের রোপা আমনের ১৬% ক্ষতির আশংঙ্কা রয়েছে।
দিনভর বৃষ্টি ও দমকা আবহাওয়ার কারনে মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারেনি দোকান পাট, ব্যবসা- বানিজ্য৷ হাট- বাজার প্রায় সব বন্ধ ছিল। এ কারনে দুর্ভোগে পরেছে দিন মজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
ঘূর্নিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় বুধবার রাত ১০টায় জেলা প্রশাসকের দরবার হলে জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলমের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছিল।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার অংশ হিসেবে জেলার উপকূলীয় এলাকাসহ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষদের সতর্কসহ নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় ৭০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৬টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৩৮টি ইউনিটে ৯ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলে
জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম জানান।
দুর্যোগ–পরবর্তী জরুরি সহায়তার প্রায় ২৯লাখ টাকা ও ৫৬০ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।