সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন
হাবিপ্রবি এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জেলা প্রতিনিধি,নীলফামারী
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) গৌর চন্দ্র রায় (১৯) নামে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাবলিপুরের কামিনী রায় ছাত্রাবাস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
গৌর চন্দ্র রায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল অনুষদের ২৩ ব্যাচের(২০২২-২৩) ‘এ’ সেকশনের শিক্ষার্থী। সে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের গুপ্তপাড়া এলাকার ভুবন চন্দ্র রায়ের ছেলে।
মৃতের রুমমেট ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে গৌর চন্দ্রের কয়েক বন্ধু
মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তার রুমমেট তাকে সেখানে যেতে বললে মাথাব্যথা করছে জানিয়ে রুমেই অবস্থান করেন গৌর। বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে তার রুমমেট রুমে এসে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তারপর আশেপাশের রুমের ছেলেদের ডাকেন। তখন তারা জোরে-জোরে দরজা ধাক্কালেও ভেতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ভেতরে তাকে (গৌরকে) সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় মাফলাট পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়।
মৃতের সহপাঠী ও পরিবার সুত্রে জানাযায় তার
মিতা একজন এ্যাবনরমাল ব্যক্তি ও মা ডোমার ভীত্তি বীজ আলু কৃষিফার্মে ডে লেবার শ্রমিকের কাজ করে পড়াশোনার খরচ চালাত এ কারনে সে মানসিক বিষাদে বিপর্যস্ত ও অস্থিরতায় ভুগছিল। সেই থেকে বা অন্য কোন কারনে এমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বিষয়টি জানার পরই আমাদের তরফ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে নিহত শিক্ষার্থীকে এম্বুলেন্সে করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি মৃতের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন প্রাথমিক তদন্ত শেষে আত্মহত্যা বলে মনে করছি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ বলেন,আমরা পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছি। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।