সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনে আসবে না বিএনপি —রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন
সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি অংশগ্রহন করবে না। কারন তারা পিটিয়ে মানুষ মারে, জনগনের কাছে ভোট চাওয়ার অধিকার তাদের নেই।তারা দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। আর আওয়ামী লীগ দেশে
অভূত পূর্ন উন্নয়ন করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন উন্নয়নের রুপকার। যে রেল বিএনপি ধ্বংস করে দিয়েছিলো সেই রেলকে আজ আধুনিক ভাবে গড়ে তুলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুধু রেল নয় দেশের সব সেক্টরে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। শনিবার দুপুরে জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলওয়ে ষ্টেশন চত্বরে ভারতের সাথে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মান শীর্ষক প্রকল্পের আত্ততায় নবনির্মিত চিলাহাটি আইকনিক ষ্টেশন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার,জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর,প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম,পশ্চিমাঞ্চলের রেলের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক,মহা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার,উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি রেলমন্ত্রী সুজন আরো বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে থমকে না যায় সে কারনে দেশ বিরোধী বিএনপিকে প্রত্যাঙ্খান করে আগামী নির্বাচনেও নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
আইকনিক ভবন উদ্বোধনের ফলে উত্তরাঞ্চলের শেষ রেলওয়ে স্টেশন চিলাহাটি-ষ্টেশনে ইমিগ্রেশন চালু হবে ফলে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। তখন চিলাহাটি থেকেই যাত্রীরা ভারত যেতে ও আসতে পারবেন। তবে চিলাহাটি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামার ব্যবস্থা না থাকায় এতদিন এ ট্রেনের কোনো সুবিধা পায়নি উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ স্থাপনকারী এ ট্রেনে যাতায়াতের জন্য উত্তরবঙ্গে ইমিগ্রেশন চালুর দাবি শুরু থেকেই ছিল। সেটা মাথায় রেখেই প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলাহাটিতে আধুনিক রেলওয়ে ষ্টেশন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। খুব শীঘ্রই এই ষ্টেশন থেকে মিতালী এক্সপ্রেসে উঠা নামার সুযোগ মিলবে এই খবরে উচ্ছাসিত স্থানীয় জনগন ও যাত্রীরা।
রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে ষ্টেশনটির। ষ্টেশনটি পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রথমে অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে ষ্টেশনটি। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন চালু করা হবে।
আইকনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। আধুনিক যাত্রী সুবিধার জন্য টিকিট কাউন্টার, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর বিশ্রামাগার তো থাকছেই। এর পাশাপাশি থাকছে রেলওয়ের কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভিন্ন বিভাগের অফিস। ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় থাকছে ব্যাংক ও রেস্তোরা ।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইমিগ্রেশন পয়েন্ট। চিলাহাটি হয়ে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীরা চলাচল করতে পারবে এই ষ্টেশন থেকেই। এতদিন মিতালী এক্সপ্রেসে যাতায়াতের জন্য ঢাকা থেকে ইমিগ্রেশন হলেও সেই সুবিধা চিলাহাটি থেকেই পাবেন উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা। ফলে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন ভারতের শিলিগুড়িতে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়ালী-উল হক বলেন, আইকনিক ষ্টেশন ভবনের মধ্যে কাষ্টমস্ ও ইমিগ্রেশন সুবিধা থাকবে। পাশাপাশি রেস্তোরা ও ব্যাংকের সুবিধা থাকবে।