বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
নীলফামারীতে বিদ্যালয়ে একাধিক বিছানা আয়েশ করে কারা?
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমারে ২৪ নং দক্ষিণ গোমনাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে গিয়ে দেখা গেছে পাতানো একাধিক(৪ খানা)বিছানার সারি। স্কুলে না-পেয়ে মুঠোফোনে কথা হলে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা শাহিন আক্তার বলেন আমার প্রতিষ্ঠানের চারজন শিক্ষিকা সবারই সন্তান জন্মগ্রহন করেছে। তাছাড়া সন্তানের প্রতি মাতৃত্বের যে পরিচর্যা ও যত্ন শেসব নেয়ার জন্য অফিস রুমে বিছানা পাতানো হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
সোমবার(২৫ শে জুলাই) দুপুরের দিকে সরজমিনে গিয়ে ২৪ নং গোমনাতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষকদের অফিস রুমে এ অবস্থা চোখে পড়ে।
দেখা যায় লালসালু কাপড়ে পর্দা টেনে চারখানা তত্ত্বা খাটের উপরে পড়ে আছে তোশক,কোল বালিশ,বেডশিট, কাঁথা,বালিশসহ চার খানা বিছানা।
প্রধান শিক্ষিকা আরো বলেন আমার প্রতিষ্ঠানে আমি সহ পাঁচজন শিক্ষিকা তার মধ্যে ৪ জনের সন্তান জন্মগ্রহন করেছে। সন্তানের পরিচর্যা ও মাতৃত্বের ভালোবাসা দেয়ার কারণে স্কুলের অফিস কক্ষে পাতানো হয়েছে পৃথক পৃথক বিছানা। বিছানা ব্যবহার করে সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম,সুরাইয়া বেগম, রেনুফা বেগম ও উম্মে জয়নব।
এদিকে এমন ঘটনায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মহিলা জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী বলেন স্কুল পরিদর্শনে অফিসার আসেন তারপরও কি ভাবে স্কুলের কক্ষে বিছানা পাতানো হল ? এ দ্বায় কার।অপর দিকে জানা যায় কাগজে কলমে বিদ্যালয়টিতে ১১১ জন শিক্ষার্থী থাকলেও তৃতীয় ক্লাসে উপস্থিতি দেখা গেছে ৫ জন,চতুর্থ শ্রনীতে ৪ জন,পঞ্চম শ্রেনীতে ৭ জন। ক্লাস ওয়ান ও ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী সে সময় ছুটি দেয়া হয়েছিল। এত কম উপস্থিতি শিক্ষার্থী এ বিষয়ে কথা বল্লে সহকারী শিক্ষিকা রেনুফা বেগম ব্র্যাক স্কুল আসপাশে আছে বলে জানান।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রকিবুল হাসান বলেন শিক্ষিকার সন্তান জন্মগ্রহন করলে সন্তান দেখভাল করার জন্য মানুষ রাখতে পারে। কোন ভাবেই স্কুলের কক্ষে বিছানা পাতানো যাবে না। যা নিয়ম বর্হিভুত।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন বলেন এমন ঘটনা কেউ ঘটালে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।