শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
নীলফামারীতে চিচিংগার ভালোদাম পাওয়ায় চাষাবাদে আগ্রহী উঠছে কৃষক
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমারে অল্প খরচে অধিক লাভ
হওয়ায় চিচিংগা চাষে আগ্রহী উঠছে কৃষক।
এবারের আবহাওয়া অনুকুলে থাকায়
চাষাবাদে আশানুরূপ ফলন ও ভালোদাম পাওয়ায় চিচিংগা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের হংসরাজ গ্রামে চিচিংগা চাষী মনোরঞ্জনের খেতে গিয়ে কথা হলে বলেন পনের বছরের অধিক সময় ধরে আমি চিচিংগা চাষে যুক্ত।এবারো ১২ শতাংশ জমিতে চিচিংগা চাষ করেছি। অগ্রহায়ণ মাসের
শেষের দিকে জমিনে চারা করতে হয়।মাঘমাস শেষে জমিতে চারা বপন করি। চারা লাগানোর একহতে দের মাসের মধ্যেই গাঁছে ফলদেয়া শুরু করে। মাচা তৈরি পর্যন্ত সবমিলিয়ে খরচ তার ৬ হাজার টাকা। এ যাবৎ আমার বিক্রী হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। খরচ
তুলে এখন লাভ হয়েছে। তাছারা আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আরো একমাস খেতের চিচিংগা বিক্রী করতে পারবো। শুরুতে ৮০ টাকা কেজি দরে চিচিংগা বিক্রী করেছিলাম। এখন কেজি ৩০টাকা।ক্ষেত হতে সপ্তাহে দুইবার চিচিংগা তোলা যেত ফলন আসত ৪ হতে ৫ মন। বর্তমানে ২ হতে ৩ মন আসে। দামে কম হলেও নেই কোন ক্ষতির সম্ভাবনা। কৃষক মনোরঞ্জন জানান আমার চিচিংগার ফলন ও লাভ দেখে এলাকার অনেকে কৃষক এখন চিচিংগা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। জানতে চাইলে মরামর্শও দিচ্ছি । যে কারনে বাজারে চিচিংগার মজুদ বেশী হয় দামে কিছুটা ভাটা।এ
দিকে সোনারায় ইউনিয়নের চিচিংগা চাষী আব্দুল জলিলও বলেন আমিও বিশ বছর ধরে চিচিংগা চাষ করছি এই সবজি খুবই লাভজনক।আমার দেখে এলাকার ত্রিশ জনেরও বেশী কৃষক এখন চিচিংগা চাষ করছে। অল্প জমিতে সল্প খরচে সামান্য পরিশ্রমে চাষাবাদ করাযায়।
কথা হলে ডোমার উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ)রফিকুল ইসলাম বলেন এবারে উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে চিচিংগার চাষাবাদ করা হয়েছে। তাছারা আমাদের উপসহকারী কৃষি অফিসার গন নিয়মিত প্রান্তিক কৃষকের মাঠে গিয়ে অধিক ফলন ও রোগবালাই প্রতিরোধ বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে আসছে।