বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
জোনাকি স্টুডিওর গ্যাস সিলিন্ডার, ও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে আগুনে পুড়ল শত শত ঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নিহত ১ আহত ১
মোঃ শাহরিয়ার রিপন ঃ- চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ৩৮ নং ওয়ার্ডের ধুমপাড়ায় জোনাকি স্টুডিওর গ্যাস সিলিন্ডার, ও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে আগুনে পুড়ে গেছে শত শত ঘর ও ৮০ টিরও বেশি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।
উপস্থিত ও এলাকাবাসির সুত্রে জানাগেছ,
জোনাকি স্টুডিও ও গাজী ওমর শাহ সমবায় সমিতির মালিক মোঃ রিপন প্রঃ সুদে রিপন এর ওয়ালটন শো রুম ও দ্বিতিয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতো রিপন, একশো’রও বেশি ছিল ভাড়া ঘর ধুমপাড়া রেলবিটে। যেখানে মজুদ ছিল শত শত গ্যাস সিলিন্ডার, যার ভিতরে অনেক সিলিন্ডারের মেয়াদ উর্ত্তিন্য। মেয়াদ উর্ত্তিন্য সিলিন্ডার অন্য দিকে বিদ্যুৎ এর অবৈধ সংযোগ। মেয়াদ উর্ত্তিন্য সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করে এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে স্পার্ক করলে আগুন লেগে যায়।
মুহুর্তের মধ্যে কয়েকটি সিলিন্ডার বাস্ট হলে সাথে সাথে আগুনের লেলিহান চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী জানান, রিপন,মোবাইল মিস্ত্রি জাকির,ও বখতিয়ার, সহ এলাকায় কয়েকজন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যাবসা করছেন, তাদের কারও নেই বৈধতা বা বৈধ কোন কাগজ পত্র,বিদ্যুৎ চুরি করে তারা বছরের পর বছর ধরে সরকারের কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরি করে আসছে, এখন যেসব মানুষ গুলো পুড়ে মারা গেছে এবং যেসব ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের দ্বায়ভার কে নিবে? বাংলাদেশ রেল ওয়ের জায়গাগুলো স্থানীয় জমিদার ও বিভিন্ন জেলার মানুষেরা জোরপূর্বক দখল করে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভাড়া ঘর, এই এলাকাটি গার্মেন্টস অধ্যুশিত এলাকা হওয়ায় একটু কম খরচের জন্য থাকেন এই সব বস্তি ঘরে, আর এ সুযোগে এলাকায় কয়েকজন গড়ে তুলেছেন সুদে কারবারি, বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবসা, ও ভাড়া ঘরের বানিজ্য। রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের দারুণ বিঘ্নতা ঘটলেও নেই কারও নজরদারি, লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস কর্মীদের যাতায়াতের বিগ্নতা সৃষ্টি করে দখল করে নেওয়া হয়েছে ফুটপাত।
কথা বল্লেই অপরাধ মুখবুজে সহ্য করতে হয় যাতায়াতের নরক যন্ত্রণা। রেলওয়ের জায়গা দখলদারিরা গড়ে তুলেছেন ঘন বসতি। যার ফলে আজ আবদুল করিম হাওলাদার (১৩০) বছর বয়সি বৃদ্ধ কে আগুনে পুড়ে মরতে হলো। আমরা প্রশাসন সহ বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চ মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। পুড়ে যাওয়া বৃদ্ধের ছোট ছেলে ইউনুস মিয়া ( ৫৬) বলেন, আমার বাবার বয়স ১৩০ বছর তিনি চোখে দেখতেন না, কানে শুনতেন না, হাঁটাচলাও করতে পারতেন না, বৃদ্ধ বাবাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইউনুস মিয়া, রেলওয়ের বস্তিতে বসবাসকারি ব্যাবসায়ী সহ সকলের কান্নায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যর সৃষ্টি হয়।সকাল ১১ঃ২০ মিনিটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১ টি ইউনিট ২ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ- সহকারী মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, আমরা ১১ টি ইউনিট কাজ করেছি এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে। ১জন বৃদ্ধ নিহত ১জন আহত হয়েছে, আর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও ধারনা করা যাচ্ছে না, তবে অনুমান ৮০/৯০ টির মত দোকান এবং কয়কটি কলোনী সম্পুর্ন পুড়ে গেছে,
খবর পেয়ে বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির, ও ধুমপাড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ শরিফুজ্জামান ভুঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন এবং যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাদের তালিকা তৈরি করছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা এস্টেট মোঃ জুয়েল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার উর্ধতন কর্মকর্তারা বলতে পারবে, আমি এব্যাপারে কিছু বলতে পারবোনা, তারপর, রেলওয়ের আর কেউ ফোন রিসিভ করে নাই।
রেলওয়ের জায়গা দখল করে কলসি দিঘির বাজার গড়ে উঠেছে, সেখানেও হচ্ছে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য,, নিরব রেলওয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ভিতরে ভিতরে বানিজ্য বলে মন্তব্য অনেকের। রেলওয়ের জায়গা দখল করে দুই তলা বিল্ডিং সহ পাকা স্থাপনা গড়েছেন অনেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ করেন সচেতন মহল।
এবং আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।