বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন

Notice :
সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে..........চট্টগ্রাম অফিস: সৈয়দ নূর বিল্ডিং , এম এ আজিজ রোড, সিমেন্ট ক্রসিং, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১৫৩৩৩০৮, ০১৭১১৪৬৭৫৩৭, E-mail: gsmripon@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
সদরঘাট থানার উদ্যোগে থানা কম্পাউন্ডে সিটিজেনস্ ফোরাম কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। অর্থনীতিতে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের অবদানের সুযোগ রয়েছে -সিভাসু উপাচার্য পতেঙ্গায় পশ্চিম মুসলিমাবাদ জিলানী নগর যুব সমাজের তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হালিশহরের প্রস্তুতি ফুটবল ম্যাচে অনুর্ধ্ব -১৫ টিম জিতেছে নওয়াপাড়ায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।  চান্দগাঁও থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃ জেলার মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় ৩ জন সদস্য গ্রেফতার ৪ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার অভয়নগরে আরাফাত রহমান কোকো স্বৃগি ফুটবল ট্রুনামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।  অভয়নগরে বিএনপি নেতা ফ,ম মোশাররফ হোসেন এর ১৩তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত।  জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না -ধর্ম উপদেষ্টা

ভূয়া ওয়ারিশ সনদ পত্রে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা: ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মামলা

ভূয়া ওয়ারিশ সনদ পত্রে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা: ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মামল

 

মোঃ শাহরিয়ার রিপন  ::০৯ফেব্রুয়ারী

চসিকের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর ভূয়া- জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কাউন্সিলর । গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি ,মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী মোস্তফা মোহাম্মদ এমরান বলেন, আদালত শুনানি শেষে অভিযোগটি গ্রহণ করেছেন। এবিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার মধ্য হালিশহরের আবদুল গণি কন্ট্রাক্টর বাড়ির মৃত মোহাম্মদ শরীফের সন্তান মো. আবুল হাসেম, ডেইজি আকতার, কোহিনুর আকতার, একই এলাকার মৃত আলীর ছেলে মো. হোসেন শরীফ, মো. আমিন শরীফ ,আলতাজ বেগম, নুর বেগম, রেজিয়া বেগম, কামরুন নাহার মনু ও গোলনাহার বেগম।
অভিযোগে বলা হয়, আবুল হাসেম গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে ১৪ নভেম্বর ইস্যু করা কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত দুইটি ওয়ারিশ সনদপত্রের ফটোকপি সত্যায়িত করতে আসেন। মৃত আলী ও মৃত মোহাম্মদ শরীফের ওয়ারিশের নাম উল্লিখিত দুইটি ওয়ারিশ সনদের ফটোকপি কাউন্সিলরের সামনে উপস্থাপন করলে কাউন্সিলর আসামি হাসেমকে ওয়ারিশ সনদে স্বাক্ষর তার না বলে চ্যালেঞ্জ করেন।
হাসেমও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে কাউন্সিলর ওয়ারিশ সনদের বালাম বই পরীক্ষা করেন। বালাম বইয়ে দেখা যায় গত বছরের নভেম্বর মাসে কোনো ওয়ারিশ সনদই ইস্যু করা হয়নি। এক পর্যায়ে হাসেম স্বীকার করে, তারা ওই ওয়ারিশ সনদ দুটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের প্যাড, সিল, স্বাক্ষর নকল করে তৈরি করেছে। বেড়িবাঁধের ভূমি অধিগ্রহণের সরকারি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সনদ দুটি তৈরি করেছে।

ওইদিনই জাল মূলসনদ দুইটি কাউন্সিলর অফিসে জমা দিয়ে তা বিনষ্ট করার কথা থাকলেও হাসেম তা জমা দেননি। এ ঘটনায় পরদিন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সচিব বন্দর থানায় এই ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি রুজু করেন। ১৯ ডিসেম্বর বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক দপ্তরে জানান। বাদি পরে জানতে পারেন, নগরীর চকবাজার, বায়েজিদ, প্রি-পোর্ট, মুরাদপুরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরির সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে।
আসামিরা বাদির দপ্তরের প্যাড, সিল, স্বাক্ষর নকল করে আরও জাল ওয়ারিশসনদ তৈরি করে বেড়িবাঁধের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। আসামিরা জাল ওয়ারিশ সনদ বিভিন্ন দপ্তরে ইতিমধ্যে উপস্থাপন করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2023 Channel69tv.net.bd
Design & Development BY ServerNeed.com