বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন
ইপিজেড থানা পুলিশ কর্তৃক কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় ০৩ জন সদস্য গ্রেফতার।
কয়েকদিন পূর্বে কিশোর গ্যাং কর্তৃক একজন মহিলাকে মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। উক্ত ভিডিও ভাইরাল হওয়াতে ক্ষতিগ্রস্থ মোহনা আকতার (২২) ইপিজেড থানায় আসিয়া আসামী ১) সাখাওয়াত (২৪), ২) সিমি (১৮), ৩) শাওন (২২), ৪) তানিয়া (২২), ৫) আরফিন (২১)’দের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়া জানান যে, তাহার ফেসবুক বন্ধু Md Nazim Uddin আইডিধারী আসামী সাখাওয়াত (২৪) গত সপ্তাহ খানেক যাবৎ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন রকম মানহানীকর ও বিব্রতকর এবং অশ্লীল কথাবার্তা সম্বলিত ম্যাসেজ তাহাকে পাঠাইতে থাকে। তিনিও উক্ত ম্যাসেজের জবাব দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামী সাখাওয়াত তাহাকে দেখে নিবে এবং মারধরসহ অপমান করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। গত ২৪/০৮/২০২০ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় আসামী ১) সাখাওয়াত (২৪), ২) সিমি (১৮), ৩) শাওন (২২), ৪) তানিয়া (২২), ৫) আরফিন (২১)’গণ তাহার ইপিজেড থানাধীন কসাইগলিস্থ নুর আলম সওদাগর বিল্ডিং এর বাসায় গিয়া তাহাকে এলোপাথারি মারধর করিয়া মারধরের ভিডিও ধারণ করিয়া চলিয়া যাওয়ার সময় হুমকি দিয়া তাহাকে বলে যে, উক্ত ঘটনা বিষয়ে বাড়াবাড়ি করিলে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুক-এ ভাইরাল করে দিবে। পরবর্তীতে আসামীগণ মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল করে তাহার ও তাহার পরিবারের সদস্যদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করে। তাহার অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক ইপিজেড থানার মামলা নং-২১, তারিখ-২৬/০৮/২০২০ ইং, ধারা-ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫/৩৫, তৎসহ ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পর উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি, চট্টগ্রাম জনাব মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মহোদয়ের দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি, চট্টগ্রাম জনাব পংকজ বড়–য়া মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি, চট্টগ্রাম জনাব মোঃ কামরুল হাসান মহোদয়ের তদারকিতে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব উৎপল বড়–য়া ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোহাম্মদ হোছাইন’দ্বয়ের নেতৃত্বে ইপিজেড থানার চৌকশ অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত টিম ইপিজেড সমস্ত ধরণের পুলিশিং কলাকৌশল অবলম্বন করিয়া সিএমপি’র বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মামলার ঘটনার মূল হোতা এজাহারনামীয় আসামী ১। সাখাওয়াত (২৪), পিতা-মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাতা-খাদিজা বেগম, সাং-নয়া বাজার, থানা-হালিশহর, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ লামিম শাওন (২০), পিতা-মোঃ আজিবুর রহমান, মাতা-নাজমা আইরিন, সাং-উত্তর ফুলহাতা, জমাদ্দার বাড়ী, ডাকঘর-ফুলহাতা, থানা-মোড়লগঞ্জ, জেলা-বাগেরহাট, বর্তমান-ইস্ট কলোনী, ব্লক-ও, বাসা নং-ঙ, ৩য় তলা, থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। তাহমিনা সিমি (১৮), পিতা-মোঃ কামাল হোসেন, মাতা-মোছাঃ সালেহা বেগম, সাং-ধনপতি, বোয়ালখালী, ডাকঘর-মুন্সিরহাট, থানা ও জেলা-চাঁদপুর, বর্তমান-সিমেন্ট ক্রসিং, গাউসিয়া ভবন, বড়বাড়ী, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রামদেরকে গ্রেফতার পূর্বক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইয়াছে। অপরাপর জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রহিয়াছে। মামলা তদন্ত অব্যাহত আছে।