শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
যশোরে পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়িতে ডাকাতি
শেখ আলী আকবার সম্রাট যশোর থেকেঃ
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ভাণ্ডারীমোড়-সংলগ্ন প্রবাসী মানিক হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে বলে এক বিশ্বাস্থ সুত্রে জানা গেছে।
এই সময় ডাকাত দলেরা স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ ৪টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এসময় খবর পেয়ে রবিবার ভোরে খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে।
এদিকে প্রবাসী মানিকের ছোট-ভাই মনির হোসেন জানিয়েছেন, তিনিও সৌদি থাকতেন। এক বছর আগে তিনি দেশে ফিরেছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০-১৫ জন সশস্ত্র ডাকাত বাড়ির পেছনের গ্রিল ও দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে।
ডাকাতদের ১ জন তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ও বাকিদের হাতে চাকু ও রডসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছেন। এরপর আধাঘণ্টা ধরে ডাকাতরা ঘরের সব ওলোটপালট করে চার ভরি স্বর্ণালংকার, ৪টি দামী ফোন ও নগদ ৪/৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতদের সবার মুখ খোলা ছিল। তবে তিনি কাউকে চিনতে পারেননি।
এই দিকে ডাকাতরা ঘটনা ঘটিয়ে যশোরের দিকে যাওয়ার সময় পলাশী মোড়ে নৈশপ্রহরীদের হুমকি দিয়ে গেছে। তাদের খবর যেন পুলিশকে না জানানো হয়, সেই মর্মে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশকে জানিয়েছেন নৈশপ্রহরীরা।
খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম রসুল বলেছেন, রাত ২টার দিকে আমরা ভাণ্ডারীমোড় এলাকা টহল দিয়ে ফিরেছি। এর পরপরই এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছেন, রবিবার তাদের ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা তোলার কথা। কিন্তু ডাকাতরা ইনফরমেশন পেয়েছে গত বৃহস্পতিবার তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন। ওই খবরের ভিত্তিতে মূলত ডাকাতরা এসেছিল।
(এসআই) রসুল আরো বলেছেন, মামলা করলে বোমা মেরে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গেছে ডাকাতরা। তাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি মামলা করতে চাচ্ছেন না। তারপরও তাদেরকে থানায় আসতে বলেছি।
সম্প্রতি মণিরামপুরের পশ্চিমাঞ্চলে চুরি ডাকাতি বেড়েছে। গত কয়েকটি সপ্তাহে রাজগঞ্জ এলাকায় দুই রাতে কয়েকটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া রঘুনাথপুর গ্রামে মিজান নামে একজন ভ্যানচালকের ইঞ্জিন ভ্যান বাড়ি থেকে তালা ভেঙে নিয়ে গিয়েছে।
পরপর কয়েকটি চুরি ডাকাতির ঘটনায় ওই অঞ্চলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বর্তমানে প্রশাসনের নিকট কঠোরভাবে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।